স্বদেশ ডেস্ক:
ভারতের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ সকালে শুরু হয়েছে। এবারের ভোটে থাকছে প্রযুক্তির ব্যবহার, তার মধ্যে রয়েছে কিউআর কোডস, এবং মোবাইল অ্যাপ। ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে দেশটির রাজধানীতে জারি করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং শাহিনবাগসহ অন্যান্য স্পর্শকাতর এলাকায় জারি করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে এবার নির্বাচন ত্রিমুখী হতে চলেছে দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টি, কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। শাহিনবাগে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভকে সামনে রেখে, ওই এলাকার পাঁচটি ভোটকেন্দ্রকে “গুরুত্বপূর্ণ” বলে আখ্যা দিয়েছেন দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা, এবং ভোটারদের আস্থা অর্জনের লাগাতার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা রণবীর সিং উল্লেখ করেন, সমস্ত জায়গায় “কড়া নিরাপত্তা” জারি হয়েছে এবং নির্বাচনী এলাকায় “কোনো বিপত্তি নেই”, ভোটারদের কোনো সমস্যা হবে না।
তিনি জানিয়েছেন, দিল্লি নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৮২ জন, ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়স্ক ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৩২ হাজার ৮১৫ জন।
নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানান, মোট ভোটারের মধ্যে এবার পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৮১ লাখ ৫ হাজার ২৩৬ জন, মহিলা ভোটার সংখ্যা ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ২৭৭ জন, চাকরিরত ভোটার ১১ হাজার ৬০৮, তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৬৯, প্রবীণ বা ৮০ বছরের ঊর্দ্ধে ভোটারের সংখ্যা ২,০৪.৮৩০ জন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেষ হয় ভোটপ্রচার। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে ৬৭২ জন প্রার্থী।
এর আগে বিশেষ পুলিশে কমিশনার (গোয়েন্দা) প্রবীণ রঞ্জন জানান, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ১৯০ কোম্পানি বাহিনী। এবারের ভোটগ্রহণে যে সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে তা ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের প্রায় চারগুণ বলে জানিয়েছেন তিনি।
দিল্লি বিধানসভায় মোট বুথকেন্দ্র রয়েছে ১৩ হাজার ৭৫০টি, একটি অতিরিক্ত বুথ রয়েছে ২ হাজার ৬৮৯টি জায়গায়।
রণবীর সিং জানান, “গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলি নিয়ে যতটা উদ্বেগ রয়েছে, ৫১৬টি জায়গা, এবং ৩ হাজার ৭০৪টি বুথ রয়েছে এইধরণের”।
কেজরিওয়াল কি ফের দিল্লি দখল করবেন? নাকি মোদি ম্যাজিকে দেশটির রাজধানীতে ২২ বছর পর ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি? উত্তর মিলবে আগামী মঙ্গলবার। এনডিটিভি।